বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক ভোরের সকাল।।
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।
কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১০ সালে মারা যান শ্রমিকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ অ্যাসোশিয়েশনের (সিবিএ) তৎকালীন সভাপতি বিএম বাকির হোসেন। ১৪ বছর পর তার মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় মানববন্ধন হয়েছে। মঙ্গলবার বিএম বাকির হোসেনের গ্রামের বাড়ি উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ যোগানিয়ায় মোড়ে এ মানববন্ধন করেন বাকির হোসেনের স্বজন ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরাফাত হোসেন সবো মোল্যা, নড়াগাতি থানা বিএনপির সদস্য নাজির বিশ্বাস, কালন শেখ, ইসাবুল হক লিচু, এস এম আতাহার হোসেন ঝড়ুসহ আরো অনেকে৷
পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরাফাত হোসেন সবো মোল্যা বলেন, এক- এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের যৌথ সহযোগিতা বিএম বাকির হোসেনকে জেলের ভিতরে ধুঁকে ধুঁকে মারা হয়েছে। এ সরকারের প্রতি আমাদের আবেদন বাকির হোসনেক যে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাঁর সঠিক বিচার করা হোক।
বাকির হোসেনের মৃত্যুর পর বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে সেনা সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতিবাজাদের শীর্ষ ৫০ জনের প্রথম তালিকার ২৯ নম্বরে শ্রমিকদল নেতা বাকির হোসেনের নাম ছিল। সে বছর ৯ জুলাই তিনি গ্রেপ্তার হন। গোপন ও অবৈধভবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ২০০৮ সালে বাকির হোসেনকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। কারা হেফাজতে থাকা অবস্থায় ২০১০ সালে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি মারা যান।